নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি-২ প্রকল্পে যুক্ত করার দাবিতে ডিসিকে স্মারকলিপি

নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-২ প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, রাজধানী ঢাকার পাশেই অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চল যা জনবহুল একটি নগরী। প্রতিদিন ২ লক্ষাধিক মানুষ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু যানজট, ভাঙাচোরা সড়ক, অতিরিক্ত ভাড়া এবং পর্যাপ্ত পরিবহন সংকটের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র কার্যকর সমাধান হলো নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ। যার মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। ইতোপূর্বে আমরা জেনেছিলাম মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহর, প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল, জালকুড়ি, ভূঁইগড় ও সাইনবোর্ডে ৪টি রেল স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির এমআরটি লাইন-২ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জকে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এটির বিস্তারিত সমীক্ষার কাজ চলছে। কিন্তু আমরা নতুন করে জানতে পারলাম সরকার সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে চাচ্ছে। কিন্তু কোন কারণে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে নারায়ণগঞ্জকে উক্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এমতাবস্থায় আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি গণমানুষের সংগঠন হিসেবে এই দাবিটাকে গণমানুষের দাবি মনে করে আপনার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যথায় আমরা মনে করি নারায়ণগঞ্জের জনগণ এই দাবির পক্ষে রয়েছে বিধায় আমাদের সংগঠন ও জনগণের সাথে থেকে দাবি আদায়ে যে কোন কর্মসূচি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর, ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের হাফেজ আবদুল মোমিন প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...