অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নতুন পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি চায় জেলাবাসী

হাসিনা সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, গুম-খুনসহ সর্বপ্রকার সন্ত্রাসের অভয়ারন্য হয়ে উঠে বলে ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে। এদিকে হাসিনার পতনের পর বাঘা বাঘা সন্ত্রাসীরা পর্দার আড়ালে চলে গেলেও এদের শূন্যস্থান দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীচক্র। এমনটাই মরে করেন জেলাবাসী।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোজঁ খবর নিতে গেলে লোকজন জানায়, সব এলাকাতেই অপরাধীরা সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে কিশোর গ্যাং ছাড়াও কিলার, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ছিনতাইকারী চক্র শহরে সক্রিয় থাকায় জনমনে আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। শহরের মার্কেটগুলিতে ও আশপাশ এলাকার ছিনকাইকারি চক্রের উপদ্রব বেশী বলে জানান শহরের লোকজন।
শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন জানান, শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারী আরও বাড়ানো গেলে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির ঘটনা আরও কমে আসবে। ফতুল্লার সন্ত্রাসী গ্যাং কর্তৃক আরেক সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান এলাকার লোকজন। অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার নতুন পুলিশ সুপার যোগদান করায় সাধারন মানুষের শান্তি-শৃংখলার চাওয়া- পাওয়ায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা করছেন জেলাবাসী। সাধারণ মানুষের আশা নতুন পুলিশ সুপার জেলায় শান্তি ও আইনশৃংখলা রক্ষা ও নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন এবং শহর ও আশপাশ এলাকার কিশোর গ্যাং, মাদক সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসসহ অপরাধ ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করবেন বলে আশা জেলাবাসীর।
জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা ও শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, জেলা ও শহরের অপরাধীচক্র সক্রিয় থাকায় এদের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে জরুরীভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কিশোর গ্যাং সব এলাকাতেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এদের নিয়ন্ত্রণ-নির্মুলে আইনশৃংখলা বাহিনির কঠোরতর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী সাধারণ মানুষের। এছাড়া জেলার থানাগুলিতে জনসাধারণ তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়ার বিষয়টির উপর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...